বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আজ আমি আপনাদের কে কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় ,এর সকল নিয়ম ও নীতি সম্পর্কে
আমার এই আর্টিকেলে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা করবো।এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর কিভাবে,বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় এবং বাংলা
আর্টিকেল লিখার সকল নিয়ম আপনি জানতে পারবেন এবং আপনি খুব সহজে বাংলা
আর্টিকেল/কন্টেন্ট লিখতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
- ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন
- বাংলা আর্টিকেলের আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করুন
- বাংলা আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করুন
- মূল বিষয় আলোচনা করুন
- বাংলা আর্টিকেল গুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে
- বাংলা আর্টিকেলে আমি,আপনি শব্দের ব্যবহার
- ফিচার ইমেজ ব্যবহার করুন
- উপসংহার যুক্তকরণ
- বাংলা আর্টিকেলে অবশ্যই কপিরাইট এড়িয়ে চলা
- বুলেট পয়েন্ট বা নাম্বারিং ব্যবহার করুন
- SEO ফ্রেন্ডলি লেখার চেষ্টা করুন
- লিখা শেষে লেখকের মন্তব্য যুক্ত করার নিয়ম
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচনঃ
বাংলা আর্টিকেল লেখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ফোকাস কিওয়ার্ড , কারণ এটি
নির্ধারণ করে তোমার লেখা কাকে উদ্দেশ্য করে, কীভাবে মানুষ সেটা খুঁজে পাবে এবং
সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করবে কিনা।
তাহলে চলো, এটাকে আর একটু ভেঙে একদম সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করি,
ফোকাস কিওয়ার্ড হলো এমন একটি শব্দ বা বাক্য যা মানুষ গুগল বা অন্য সার্চ
ইঞ্জিনে লিখে কোন নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজে এবং এটার উপর ভিত্তি করে পুরো
আর্টিকেলটি তৈরি বা লেখা হয়ে থাকে।
উদাহরণ: ধরো তুমি লিখছো – "ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন?"
এখানে ফোকাস কিওয়ার্ড হতে পারে: "বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম", "অনলাইনে ইনকাম"।
কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন সেটি আপনার আর্টিকেলের মূল
বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং গুগলে মানুষ সেটি বেশি সার্চ করে। এই দুইটি
বিষয় মিলে গেলে কনটেন্ট সহজেই র্যাঙ্ক করাতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেলের আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করুনঃ
আকর্ষণীয় টাইটেল একটি বাংলা আর্টিকেলের প্রাণ বলা যায়। কারণ, পাঠক প্রথমেই
টাইটেল দেখে সিদ্ধান্ত নীয়ে থাকেন সে লেখাটি পড়বে কিনা।টাইটেলটি যেন লেখার মূল
বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত হয়। পাঠক যেন পড়েই বুঝতে পারে, লেখা কোন
বিষয় নিয়ে। একটি পোস্টের টাইটেল বা আর্টিকেল যেন ৩ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে
হয়। উদাহরণ: “বাংলা আর্টিকেল লেখার ১১টি কার্যকর টিপস”
টাইটেল এমন হতে হবে, যাতে তা আকর্ষণীয় হয় এবং তার সাথে আর্টিকেলের মূল ফোকাস
কিওয়ার্ডটিও টাইটেলে থাকে। এতে পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে লেখাটি কী নিয়ে, আর
সার্চ ইঞ্জিনেও তা ভালোভাবে র্যাঙ্ক করতে সাহায্য করবে।
বাংলা আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করুনঃ
একটি আর্টিকেল লেখার শুরুতে একটি পরিষ্কার ও তথ্যবহুল ভূমিকা থাকা অত্যন্ত
গুরুত্বপুণ্য। কারণ, অনেক পাঠক শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় তারা পুরো লেখাটি
পড়বে কিনা। যদি ভূমিকাতে পরিষ্কারভাবে বোঝানো না হয় যে পুরো পোস্টে কী কী
তথ্য থাকছে, তাহলে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং তারা আর্টিকেল টি না
পরেই চলে যাই । তাই ভূমিকা এমনভাবে লিখতে হবে, যেন পাঠক শুরুতেই বুঝতে পারে এই
লেখাটি তার জন্য দরকারি কি না।
মূল বিষয় আলোচনা করুনঃ
বাংলা আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে তা
পরিষ্কার, ধারাবাহিক এবং পাঠকের কাজে আসে। সাধারণত এটি থাকে লেখার মধ্যভাগে
ভূমিকা অংশের পরে। এখানে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গাইডলাইন ও মূল
পয়েন্টগুলো লিখা থাকে। এই অংশেই পাঠক সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেয়, কারণ এখান
থেকেই সে তার প্রয়োজনীয় সব তথ্য,মূল জ্ঞান, প্রয়োগযোগ্য টিপস বা সমস্যার
সমাধান পায়। তাই এই অংশটি হতে হবে যতটা সম্ভব তথ্যসমৃদ্ধ।
বাংলা আর্টিকেল গুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবেঃ
লেখার সময় অবশ্যই ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করা উচিত। ৩.৫ লাইনের প্যারা
পাঠকের চোখে আরামদায়ক লাগে এবং তা পড়তেও সহজ লাগে। লম্বা প্যারা দেখতে যেমন
ভারী লাগে, তেমনি পাঠকের মনোযোগও হারিয়ে যেতে পারে। তাই লেখাকে সুন্দর ও
সহজবোধ্য করতে হলে ছোট প্যারাগ্রাফে লেখা অত্যন্ত কার্যকর।
বাংলা আর্টিকেলে আমি,আপনি শব্দের ব্যবহারঃ
বাংলা আর্টিকেলে আমি,আপনি শব্দের ব্যবহার করতে হবে,কারণ এই শব্দ ব্যবহার করলে
পাঠকের সঙ্গে একটি সহজ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এতে আর্টিকেলটি শুধু
তথ্যভিত্তিক না হয়ে, হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত। পাঠক তখন অনুভব করে, যেন লেখক সরাসরি
তার সঙ্গে কথা বলছে কিংবা বন্ধুর মতো পরামর্শ দিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা আর্টিকেল লিখে ১১ উপায়ে ইনকাম
এ ধরনের ভাষা পাঠকের মনে আস্থা ও আগ্রহ তৈরি করে, ফলে সে পুরো লেখাটি মনোযোগ
দিয়ে পড়ে।
বিশেষ করে ব্লগ, গাইডলাইন বা শিক্ষামূলক কন্টেন্টে এইভাবে কথা বললে পাঠকের সাথে
এক ধরণের সংযোগ তৈরি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে পাঠক ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ফিচার ইমেজ ব্যবহার করুনঃ
আর্টিকেলে বা পোস্টের ভেতরে না হলেও একটি ফিচার ইমেজ রাখবেন। কারণ পিকচার একটি
পোস্টকে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করে। পাঠক টানা লাইনের পর লাইন পড়তে চাই
না কারণ এটা অনেক বোরিং ফিল করাই পাঠক কে। তারা চাই পড়ার পাশাপাশি ফিচার
ইমেজ দেখতে যা তার পড়ার মধ্যে আনন্দ বা উৎসাহিত করবে। এ জন্য পোস্টে পিকচার
বেশি বেশি ব্যবহার করবেন। অবশ্যই টাইটেলের এবং ফিচার ইমেজের লিখা ভিন্ন হতে হবে
এতে করে পাঠক এর মনোযোগ ধরে রাখা যাবে।
উপসংহার যুক্তকরণঃ
উপসংহার হলো একটি লেখার শেষ অংশ, যেখানে পুরো লেখার মূল কথা সংক্ষেপে বলা হয়ে
থাকে। এতে পাঠক বুঝতে পারে, পুরো আর্টিকেলে কী বলা হয়েছে এবং সেটি তার কী কাজে
লাগবে। এই অংশে ছোট করে পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়, যেন পাঠক লেখাটি
পড়ে কী করবে তা ঠিক বুঝতে পারে। উপসংহার লেখাকে সুন্দরভাবে শেষ করতে সাহায্য
করে।
বাংলা আর্টিকেলে অবশ্যই কপিরাইট এড়িয়ে চলাঃ
সব সময় চেষ্টা করবেন নিজের কন্টেন্ট নিজের মত করে লিখার এবং কপিরাইট
এড়িয়ে চলা।
কপিরাইটেড কন্টেন্ট ব্যবহার করা এটি একটি অপরাধ এটি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের
সমস্যা হবে এবং আপনার নামে মামলা হতে পারে। তাই বাংলা আর্টিকেল লিখার সময়
অবশ্যই নিজে রিসার্চ করে লিখবেন এবং কপিরাইট করা থেকে বিরত থাকবেন।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url